সমীর হালদার, যুক্তরাজ্য
কোরআনে সূরা আ’রাফ এর আয়াত ৭:৮০ বলা হয়েছে, তোমরা যারা স্ত্রীলোকেদর বাদ দিয়ে পুরুষেদর দারা তোমাদের যৌন ইচ্ছা নিবারন করছ, তোমরা সীমা লংঘঙ্কারী। আল কোরআনে লুতের স্মপ্রদায়ের ধ্বংসের বর্ণনা করা হয়েছে, যারা পুরুষদের মধ্যে পারস্পারিক যৌনকর্ম সংঘটন করেছিল। ইসলামে পুরুষ সমকামীদের জন্য মৃত্যুদণ্ড ও রুপান্তরিত লিঙ্গের ব্যক্তিদের নির্বাসনের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
পবিত্র কুরআনে বর্ণিত আছে, অভিষপ্ত গোষ্ঠি কওমে লুত সমকামের অপরাধে ধ্বংস হয়েছিল। হজরত লুত তাদেরকে বার বার হালাল পন্থায় নারীদের সঙ্গে যৌন চাহিদা পূরণ করার অনুরোধ করেছেন। কিন্তু কওমবাসী তার কথা শুনেনি ফলে আল্লাহ কওম লুতকে আজাব দিলেন এবং ধ্বংস করে দিলেন একটি জনপদকে। ইসলামে সমকাম ব্যভিচারের চেয়েও জঘন্য পাপ, মহাঅপরাধ। হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যাদেরকে তোমরা লুতের সম্প্রদায়ের কাজে (সমকামে) লিপ্ত দেখবে তাদের উভয়কেই হত্যা করো। (তিরমিজি: ৪/৫৭; আবু দাউদ: ৪/২৬৯; ইবনে মাজা: ২/৮৫৬)।
কোরআনে সমকামিতার বিষ্যয়ে কিছু জায়গাইয় কিছু পরস্পর বিরোধিতা রয়েছে, যেমন দেখা গেছে সমকামিতার অপ্অরাধে যেখানে একটা গোটা জাতি কে ধংস করে দেয়াওয়া হোয়েছে তেমনি, কিছু আয়াতে (যেমন, ৫২:২৪, ৫৬:১৭, ৭৬:১৯) বলা হয়েছে, ধার্মিক পুরুষ দের জন্য বেহেস্তে চির যৌবনা হূরদের সাথে রয়েছে মুক্ত সদৃশ বালকদের সেবা পাওয়ার আশ্বাস। কোরানের বর্ণনা মতে, এ সকল বালকেরা হবে চিরতরুণ (৭৬:১৯), তাদের আভরণ হবে রেশমের কাপড় (৭৬:২১), এবং তারা থাকবে অলংকৃত(৭৬:২২)।
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রাচীন গ্রীক সভ্যতায় কীশোর বালকেদর সাথে সমকামিতার রীতি প্রচলিত ছিল, সে সময় তা আরব দেশগুলিতেও প্রচলিত ছিল। তখনকার সাহিত্যের অনেক জায়গায় এর উল্লেখ আছে। আর তাই অনেক স্ক্লার মনে করেন সে জন্যয় কোরআনে বেহেস্তের আলোচনায় চির যৌবণা হূরদের সাথে মুক্ত সদৃশ বালকদের বর্ণনা করা হয়ছে।
তবে বিশেষজ্ঞদের শাস্তি নিয়ে যতই মতান্তর থাকুক, অধিকাংশ ইসলামী রাষ্ট্রে সমকামিতার শাস্তি খুবই নির্মম যেমন, সমকামিতার অপরাধে ফাঁসি, জীবন্ত মাটিতে পুঁতে বা পুড়িয়ে মেরে ফেলা। কট্টর ইসলামী রাষ্ট্রে এমনিক নারী-পুরুষ একত্রে পড়ার ও সুজোগ নাই। এই লিংগ বিভক্তিকরন অনেক সময় সমাজের উপর অনেক সময় স্থায়ি প্রভাব পড়ে।
বিশেষজ্ঞদের মতে শিক্ষায়, কর্মক্ষেত্রে নারি-পুরুষ পৃথকীকরণ এর জন্য সমাজে সমকামিতা বেড়েই যাচ্ছে। আমাদের দেশে, বিশেষ করে বিভিন্ন আবাসিক মাদ্রাসায় সমকামিতার ঘটনা প্রায়শই শোনা যায়। সামাজিকভাবে সমকমিতাকে ইসলামী বিশ্বে হেয় করে দেখা হয়।
সমকামি বিষয়ে ইসলামী আইন এখনো অমানবিক ও যুগউপযুগি নয়। ইসলামী বিশ্বে এখনো লেসবিয়ানরা সামাজিকভাবে প্রচন্ডভাবে অসীকৃত। ধর্মের একটা বড় প্রভাব রয়েছে সমকামিতার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষদের মধ্যে একটি ঘৃণা ও বিভ্রান্তি তৈরী করবার জন্য। সমকামিতা যে একটা প্রাকৃতিক ব্যাপার ও এটি একজন মানুষের নিজস্ব পছন্দের ব্যাপার এটি ধর্ম মানে না।