মোঃ আফজল হুসেন (রুবেল), ১৭ই জানুয়ারি, ২০২৫
নাস্তিকতা মানে শুধু ঈশ্বরে অবিশ্বাস নয়। এটা হলো বিশ্বাসকে প্রশ্ন করার সাহস, প্রতিটি তথাকথিত ‘চিরন্তন সত্য’কে যুক্তির আয়নায় দেখার দৃঢ় সংকল্প। এটি হলো জ্ঞানের পথে এক অবিরাম যাত্রা, যেখানে গন্তব্য নয়, জিজ্ঞাসাই হচ্ছে আনন্দ।
নাস্তিকতা কোনো বিদ্বেষ নয়—এ এক ধীর, গভীর চিন্তা। যেখানে কেউ হাতজোড় করে আকাশের দিকে তাকায় না,
বরং নিজের ভেতরের আলো জ্বালিয়ে দেখার চেষ্টা করে—আমি কে? এই জগৎ কীভাবে চলছে? ঈশ্বর না থাকলেও, নৈতিকতা কি টিকে থাকতে পারে না? ভালোবাসা কি ধর্ম ছাড়াও পবিত্র নয়?
নাস্তিকের ঈশ্বর নেই— তবুও সে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়, ভণ্ডামির মুখোশ ছিঁড়ে ফেলে, মানবতাকেই তার শ্রেষ্ঠ ধর্ম মনে করে। তাকে ভয় দেখিয়ে বলা যায় না—”অবিশ্বাস পাপ”, কারণ সে জানে—পাপ যদি হয়, তবে তা অন্ধ বিশ্বাসে, প্রশ্নহীন আনুগত্যে।
তার জ্ঞান থেমে থাকে না কোনো বইয়ের পাতায়, তার বোধ বন্দি থাকে না কোনো ধর্মীয় আইনে। সে জানে, প্রশ্ন করাই মানবিকতার প্রাথমিক দায়িত্ব। **জ্ঞান যেখানে প্রশ্নমুখী, চিন্তা যেখানে মুক্ত—
সেইখানেই জন্ম নেয় নাস্তিকতা।**
এ এক বিপ্লব—নিঃশব্দ, কিন্তু মৌলিক।
এ এক সাধনা—আলোর, যুক্তির, এবং সাহসের।
