লিখেছেন শামীম আল মামুন / Written by Shamim Al Mamun at 15:54 PM on 30 December 2024
ধর্ম যে একটা ব্যক্তিগত বিষয় এবং মারামারি, যুদ্ধ, হানাহানির বিষয় নয়, সেটা বুঝতে আমার সময় লেগেছে অনেক। ধর্মান্ধ এক দেশে জন্ম, স্বাভাবিকভাবেই এইসব গোঁড়ামি থেকে বেরুতে কয়েক দশক লেগে যায়। তার ওপর হুমায়ুন আজাদ, অভিজিত রায় সহ প্রমুখের হত্যা এবং আক্রমণের শিকার হওয়া চোখ এড়াইনি। এরা সবাই ধর্মান্ধতা, প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের সমালোচক ছিলেন। কেউ কট্টর কঠিন ছিলেন সমালোচনায়, কেউ একটু মিষ্টি। কিন্তু পরিণতি উগ্র জনগোষ্ঠীর কাছে বেঘোরে প্রাণ দেয়া বা আহত হওয়া।
অগাস্ট ২০২৪ এর পর থেকে বাংলাদেশে যা ঘটছে ইসলামী উগ্রবাদীদের মাধ্যমে, তাতে বাংলাদেশে কোনো সংখ্যালঘু তো দূরে থাক, অবিশ্বাসী, নাস্তিক, সমকামী, উভকামী এদের লুকিয়ে থাকাটাও দায় হয়ে যাবে। দিনশেষে দেখা যাচ্ছে এই ছাত্র-বিপ্লব আসলে মোল্লা বিপ্লব। এরা সবকটা একেকটা ইমাম হাসান/হোসেন হয়েছে। বিশাল মুসলমান! মুসলমানি এত কড়া যে বাংলা ভাষা, ঐতিহ্য মুছে দিতে পারলে বাঁচে। ইরান বা আফগানিস্তান কেন বাংলাদেশ নয়, এটা নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ এদের। আসলে, বাংলাদেশকে নিয়েই ক্ষোভ। সেকুল্যার বাংলাদেশ এদের কাছে অসম্ভব। এইসব নাহিদ, সারজিস, মাহফুজ – এদের সভ্য সমাজ থেকে বিতাড়িত করা প্রয়োজন। হিযবুত তাহরির, হরকাতুল জিহাদ, শিবির – এরা সভ্য সমাজের অংশ হতে পারেনা। অসভ্য সমাজের হতে পারে। বাংলাদেশ কী এখন অসভ্য? উগ্র ইসলামীবাদ আর অসভ্যতা মিলেমিশে এক এখন।