”ব্রাহ্মণের নাম হবে মঙ্গলবাচক, ক্ষত্রিয়ের নাম হবে বলবাচক, বৈশ্যের নাম হবে ধনবাচক এবং শুদ্রের নাম হবে নিন্দাবাচক।” মনুসংহিতা ২/ ৩১
”ব্রাহ্মণের নামের সঙ্গে শর্মা,ক্ষত্রিয়ের নামের সাথে বর্মা, বৈশ্যের নামের সাথে ভূতি বা অন্য পুষ্টিবোধক উপাধী যুক্ত হবে। শুদ্রের নাম হবে নিন্দাবাচক।যেমনঃশুভশর্মা,বলবর্মা,বসুভূতি,দীনদাস ইত্যাদি।” মনুসংহিতা ২/ ৩২
”ব্রাহ্মণ ব্রহ্মচারী কৃষ্ণসার মৃগ চর্মের উত্তরীয় ও শণবস্ত্র পরিধান করবেন।ক্ষত্রিয় ব্রহ্মচারীর পরিধান হবে ক্ষৌমবস্ত্র আর রুরু নামক মৃগ চর্মের উত্তরীয়। বৈশ্য ব্রহ্মচারী পড়বেন মেষলোমের তৈরি বস্ত্র এবং ছাগচর্মের তৈরি উত্তরীয়।” মনুসংহিতা ২/৪১
”ব্রাহ্মণের মেখলা অর্থাৎ মধ্যবন্ধনী সুখস্পর্শ যুক্ত সমান তিনগাছি মুঞ্জ তৃণে তৈরি করতে হবে। ক্ষত্রিয়ের জন্য মূরবায় নির্মিত ধনুকের ছিলার মতো এবং বৈশ্যের জন্য শণতন্তুতে তৈরি তিনহারা মেখলা তৈরি করতে হবে।” মনুসংহিতা ২/৪২
”ব্রাহ্মণের উপবীত তৈরি হবে কার্পাস সুতোয়, ক্ষত্রিয়ের শণ সুতোয় এবং বৈশ্যের উপবীত হবে মেষলোমের সুতোয়।সকলের উপবীতই তিনগাছি সুতোয় তৈরি হবে এবং তার ওপর থেকে নীচ পর্যন্ত লম্বা হবে।” মনুসংহিতা ২/৪৪
”ব্রাহ্মণ ব্রহ্মচারীর দণ্ড হবে বিল্ব বা পলাশের তৈরি। ক্ষত্রিয় ব্রহ্মচারীর হবে বট বা খদিরের দণ্ড এবং বৈশ্য ব্রহ্মচারী পিলু বা যজ্ঞ ডুমুরের দণ্ড ধারণ করবেন।ব্রাহ্মণের দণ্ড হবে কেশ পর্যন্ত লম্বা, ক্ষত্রিয়ের হবে ললাট পর্যন্ত , বৈশ্যের দণ্ডের পরিমাপ হবে নাসাগ্র পর্যন্ত দীর্ঘ।” মনুসংহিতা ২/৪৫-৪৬
”উপনীত ব্রাহ্মণ ব্রহ্মচারী প্রথমে ভবত শব্দ উচ্চারণ করে অর্থাৎ ভবতি ভিক্ষাং দেহি বলে ভিক্ষা করবেন। ক্ষত্রিয় ব্রহ্মচারী ভবত শব্দ মাঝখানে রেখে অর্থাৎ ভিক্ষাং ভবতি দেহি বলে ভিক্ষা করবেন আর বৈশ্য ব্রহ্মচারী ভবত শব্দ শেষে রেখে ভিক্ষাং দেহি ভবতি বলে ভিক্ষা প্রার্থনা করবেন।” মনুসংহিতা ২/৪৯