ইসলাম ধর্ম দর্শন ধর্মের ভাইরাস নারী নাস্তিকতার দার্শনিক অবস্থানসমূহ যুক্তিবাদ বিষয়ক প্রবন্ধ

সমকামিদের অধিকার ও তার বাস্তবায়ন চাই

20 February 2022

লিখেছেন রুমানা আকতার রুমকি, যুক্তরাজ্য

বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে সমকামিদের অধিকার নিয়ে কথা বলার মত ঝুঁকি আর কিছুতেই আছে বলে মনে হয়না। সমকামিরা পদে পদে ঝুঁকিতে ও এক বিপন্ন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে। অথচ তাদের দেশ থেকেও নেই, সরকার থেকেও নেই। এ যেন নিজ ভূমে পরবাসী। তাদের নেই কোনো পরিবার, নেই কোনো বন্ধন, নেই কোনো অধিকার। সমাজে থেকেও তারা অনেক টা লুকিয়ে জিবন জাপন করে।

মুক্ত ভাবে কোনকিছু করার বা বলার অধিকার তারা রাখে না। এমন কি তাদের নিজেদের পরিবারের ও বোঝা হোয়ে থাকতে হয়। প্রতিনিয়ত উঠতে বসতে সঈতে হয় অকথ্য গালিগালাজ আর হা হুতাস। এসব গ্লানি থেকে অনেকেই প্রচন্ড রকম মাণষিক দডিপ্রেশনে চলে যায়। সিধান্ত নেয় সুইসাইড করার। কারন আমাদের দেশে না আছে কোণ রিহাব বা এরকম কোন সংগঠন যা তাদের কে গাইড করে মানসিক ট্রমা থেকে বাহির করে আনতে পারবে। আমার মতে সমকামিরাও মানুষ, তাদেরও আছে সাভাবিক ভাবে বাচবার অধিকার। তাদের নিজেদের জীবন সাথি বেছে নেবার অধিকার তাদের ও আছে আড় দশজন সাভাবিক মানুষেড় মোত। এটক্ষনে তো আমি সাধারন ভাবে সকল সমকামি দের কথা বললাম, এবার যদি বলি সমকামি মেয়ের কথা, তাহলে তো ধরেই নিতে হবে হয় তার মাথায় গন্ডগোল দেখা দিয়েছে অথবা জিন বা ভুতে পেয়েছে।

এখন এ অবস্থায় এ মেয়েটি কি করবে? সে তো তার মত কাউকে খুজেই পাবে না লকলজ্জার  ভয়ে। তাহলে ভেবে দেখুন এই মেয়েটি কি পরিমান মানুষিক যনত্রনা নিয়ে জীবন পার করছে। হয়তবা একদিন পরিবারের চাপে তার বিয়ে হয়ে যাবে। তারপর তার পক্ষে কতক্ষন একজন ছেলে কে কতদিন জিবননসাথি হিসাবে মেনে নিবে। হয়তবা সে প্রতিদিন মারা যাবে। এভাবে মরতে মরতে হয়তবা একদিন ভেবে নিবে প্রতিদিন মরার চেয়ে একদিন সত্ত্য মরে যাওয়া ভাল।

হয়তবা তার জিবনের গল্পটা এভাবেই একদিন শেষ হয়ে যাবে কেও জানার আগেই। তো আর কত, দেশ তো উন্ন্যয়নে, সেই কবেই সিঙ্গাপুর, লনডন হয়ে গেছে? তো আমরা কেন এখণো সমকামিদের মেনে নিচ্ছি না? কেনই বা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করছি, কেন তাদের কথা শুনছি না, কেনই বা তাদের কে কথা বলতে দিচ্ছি না? আসুন আমরা আজ সবাই একসাথে সোচ্চার হয়। আমরা মানবতার গাইন গায়। আমরা কিছুক্ষনের জন্ন্য ধরমকে পাশে রেখে একটু মানবিক হবার চেস্টা করি, আসুন আমরা জিবনে র গান গায়। আমরা সবার জন্ন্য অভিন্ন সমাজের শপ্ন দেখি। আমাদের এখনি দরকার নায় সকলের,  আমার মত একজন একজন করে এগিয়ে আসুন, দেখবেন একদিন আমরা অনেক হয়ে গেছি। আসুন আমরা বদলায়, তবেই তো বদলাবে সমাজ। আমরা এগুলে, সামনে যাবে বাংলাদেশ!